বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে দিনের বেলায় গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও রাত হলেই আতঙ্ক ভর করছে বাসিন্দাদের। থেমে থেমে আসছে গুলির শব্দ।
এদিকে উখিয়া সীমান্তের রহমতের বিল এলাকায় তিন থেকে চারটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল শুক্রবার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে না পারায় লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা নিশ্চিত করতে পারেনি লাশের পরিচয়।
এ ছাড়া গতকাল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের পশ্চিমকুল এলাকায় অবিস্ফোরিত একটি মর্টার শেল পাওয়া যায়।
অপর দিকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মিয়ানমারের ২৩ নাগরিকের বিরুদ্ধে গতকাল উখিয়া থানায় মামলা হয়েছে। তাঁদের কাছে ১২টি অস্ত্র ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ চলছে। ইতিমধ্যে বিজিপিকে হটিয়ে তুমব্রু রাইট ক্যাম্প ও ঢেঁকিবুনিয়া সীমান্তচৌকি আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রোববার দিবাগত রাত তিনটা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। এ ছাড়া মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তাঁরা বর্তমানে বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। আকাশ কিংবা নদীপথে তাঁদের সে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।
Comments
Post a Comment